আপনাদের বোঝার সুবিধারথে এই বইয়ের কিছু কিছু অংশবিশেষ নিচে দেয়া হল।
টাইপিং মিস্টেক হতে পারে তার জন্যে দুঃখিত তবে পি ডি এফ কপিতে নির্ভুল পাবেন আসা করি ইনশাআল্লাহ্
এই বইটি প্রচারে কারো আপত্তি থাকলে আমাদের ফেছবুক পেজে জানানোর অনুরোধ রইল
একটু পরে দেখুন
ভারী ফুরফুরে একটা মেজাজ নিয়ে ঘুম ভাঙল টুপুরের। কাল সন্ধেবেলা সে এসেছে মিতিনমাসির বাড়ি। আজ রবিবার, আগামীকাল জন্মাষ্টমী, পরশু পনেরােই অগস, বুধবার স্কুলের প্রতিষ্ঠাদিবস, এখন ক'দিন ছুটিই জুটি। আর এইরকম মিনি ভেকেশানে মাসির বাড়ি ঘাঁটি গাড়ার মজাই আলাদা। অবিরাম আচ্ছা, হইহই, এদিক-সেদিক বেড়ানাে, বুমকুমের সঙ্গে খুনসুটি...! কী আনন্দে যে কাটে দিনগুলাে। এর সঙ্গে মাসির কোনও কেস চললে তাে কথাই নেই। বিপুল উৎসাহে টুপুর ছুটতে পারে তার পিছন পিছন। উত্তেজনার অন পোহানোর সঙ্গে-সঙ্গে মস্তিষ্কে খানিক শান দিয়ে নেয়া যায়।
বিছানা ছাড়ার আগে টুপুর ছােট্ট একটা আড়মোড়া ভাল। সাড়ে সাতটা বাজে, বুমবুম এখনও অকাতরে ঘুমােচ্ছে। ভাইয়ের গালে আলতো টোকা নিয়ে পায়ে-পায়ে ঘরের বাইরে এল টুপুর।
লিভিংরুমে কি মারতেই পার্থমােসাের প্রশ্নবাণ উড়ে এল, আই মেয়ে, বৃত্রাসুরের আগের জন্মের নাম কী ছিল?... চার অক্ষর।”
টুপুর থতমত মুখে বলল, “কে বৃত্রাসুর?” **এক অসুর। যাকে মারার জন্য দধীচিমুনির পাঁজরার হাড় দিয়ে ইন্দ্রের বক্স তৈরি হয়েছিল।”
ও হ্যাঁ, জানি তো। কী যেন? কী যেন ? চিত্রসেন ? “ননা। চিত্রকেতু। এবার চশমার একটা প্রতিশব্দ বল দেখি? তিন অক্ষরের ?”
টুপুর প্রমাদ গুনল। পার্থমেসাে এখন শব্দজব্দের নেশায় রয়েছে, প্রশ্নে প্রশ্নে টুপুরকে পাগল করে দেবে। একটা হাই তুলে টুপুর বলল, “জানি না।”
“জেনে রাখ। উপাক্ষ।”
“কতবার বলেছি, ভােরবেলা উঠে শব্দছক করবি, স্মৃতিশক্তি প্রখর হবে। এবার বল তাে, জটাসুরের ছেলে...চার অক্ষর...!”
“ঘ্যাঁঘাসুর ?”
“তােমার মাথা। অলঘুষ। ঠিক আছে, এবার একটা সােজা জিজ্ঞেস করছি। আলতার প্রতিশব্দ কী? তিন অক্ষরের ?”
“অলক্ত? “উঁহু। য দিয়ে।” টুপুর মাথা চুলকোল, “পারব না।”
“যাক।” পার্থ দু দিকে মাথা নাড়ল, “নাঃ, মাসির পোঁ ধরেধরে তাের ব্রেনে পলি জমে যাচ্ছে। দাড়া, তােকে আরও সােজা একটা...!”
পরবর্তী আক্রমণের অবশ্য সুযােগ পেল না পার্থ। টুপুরকে রক্ষা। করতেই বুঝি বেজে উঠল ডােরবেল। দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলল
অমনি চমক। অনিশ্চয় মজুমদার ! পরনে ট্রাকসুট, পায়ে স্নিকার, হাতে কায়দার ছড়ি। | পার্থ প্রায় লাফিয়ে উঠল, “স্বয়ং আই জি সাহেব যে! সক্কালসক্কাল হঠাৎ গরিবের ডেরায় ?”
“ছুটির দিনের ব্রেকফাস্টটা এখানেই সারতে এলাম। আজ আপনাদের মেনু কী?”
“ফুলকো লুচি আর সাদা আলুচচ্চড়ি। উইথ কাঁচালঙ্কা।”
“হাল্ড!" শিকার খুলে নিশ্চয় সােফায় বসলেন। এদিকওদিক তাকিয়ে বললেন, “তা গৃহকত্রীকে দেখছি না কেন? তিনি কোথায়?”
“শরীরচর্চা চলছে। ডাকব?” ডাকাডাকির প্রয়ােজন হল না। অনিশ্চয় মজুমদারের বজ্রকণ্ঠ শুনে মিতিন নিজেই বেরিয়ে এল। আই জি সাহেবকে দেখল ঝলক। দোপাট্টায় ঘাম মুছতে মুছতে বলল, “আপনি কি আজকাল মর্নিংওয়াকেও রিভলবার নিয়ে বেরােচ্ছেন?”
অনিশ্চয় তাড়াতাড়ি কোমরে হাত রাখলেন, “কী কাণ্ড, বােঝা যাচ্ছে নাকি?” | মিতিন মুচকি হাসল, “এটুকুও না নজরে পড়লে গােয়েন্দাগিরি তো ছেড়ে দিতে হয় দাদা। তা এত সতর্কতা কীসের জন্যে? কোনও গুণ্ডা-বদমাশ প্রাণহানির হুমকি দিয়েছে নাকি?”
“ওদের আমি থােড়াই পরােয়া করি। তবে আজকাল উগ্রপন্থীদের যা উৎপাত বেড়েছে...! কাকে কখন টার্গেট করে তার ঠিকঠিকানা
| “একদম খাটি কথা! সাবধানে থাকাই তাে ভাল।” পার্থ সায় দিল, “এত রকম অস্ত্র ওদের হাতে। বােমা, রিভলবার, অটোমেটিক রাইফেল, হাজারও ধরনের বিস্ফোরক, এমনকী, রকেট লঞ্চারও...!” | টুপুর ফস করে বলে উঠল, “কিন্তু ওরা এসব পাচ্ছে কোত্থেকে?”
“দেশের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে চোরাগােপ্তা। আর বাইরে থেকে তো আসছেই।” “যারা পাঠাচ্ছে তাদের ধরা যাচ্ছে না?” “চেষ্টার কি কসুর রাখছি রে ভাই। তবে বিদেশ থেকে অস্ত্র